হাবিবুর রহমান, রবি প্রতিনিধি: ভারতের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সংগঠন বর্ধমান ছন্দম-এর উদ্যোগে ১৬ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস’ উদযাপিত হয়। মৈত্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। বর্ধমান ছন্দম, পূর্ব বর্ধমান সার্ক কালচার সোসাইটি ও ডিডিএন বাংলা, উপাচার্য ড. মোঃ শাহ্ আজমকে বিশেষ সম্মাননা জ্ঞাপন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেন- ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তরে স্বাধীনতাযুদ্ধের যে ডাক দিয়েছিলেন, সে ডাকে সাড়া দিয়ে কোটি মুক্তিকামী বাঙালি মরণপণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। সেই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে পনেরো হাজার ভারতীয় সেনা আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। কোটি বাঙ্গালিকে আশ্রয় দিয়ে ভারত একাত্তরে সৎ প্রতিবেশীর মহৎ মানবিক দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতীয় জনগণের যে ত্যাগ ও নিবেদন তার সঙ্গে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর দেশে এবং বিদেশে রাষ্ট্রনায়কোচিত তৎপরতার কথা আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি।
দুইদেশের দুই মহান নেতা মুজিব-ইন্দিরার হাত ধরে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী বন্ধন তৈরি হয়েছিল। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই ঐতিহাসিক বন্ধনকে সুদৃঢ় রাখতে সদা সচেতন রয়েছেন। পারস্পরিক সহযোগিতায় দুইদেশ তাদের সাংস্কৃতিক-সামাজিক বিনিময়ের দ্বার আরও প্রসারিত করবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে প্রফেসর শাহ্ আজম বলেন, নতুন প্রজন্মের মধ্যে দুইদেশের বন্ধুত্বের ভিত্তি ও এর ইতিহাস ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমেই মৈত্রীর বন্ধন কার্যকর, দূরপ্রসারী ও টেকসই হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন জেনিফার তাসিন, সৃজন। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিলেন বর্ধমান ছন্দম নৃত্যালয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।